বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২৩ অপরাহ্ন

নবাবগঞ্জে আগুন লেগে ঘরবাড়িসহ আসবাবপত্র পুড়ে গেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:: ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল কবরস্থানের পাশে শাহিন খানের বাড়িতে আগুন লেগে ঘরবাড়িসহ আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ১৫-১৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে বাড়ির মালিকের দাবি।

স্থানীয়রা জানান, রাত সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়। এসময় নিজেরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। লোকজন ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে দুটি ইউনিট এসে ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। ততক্ষণে আগুনে তিনটি বসতঘর পুড়ে যায়। এছাড়া আটটি অটোরিকশা, ভাড়াটিয়ার ছয়টি রুমে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র পুড়ে ভস্মীভূত হয় ৷

বাড়ির ভাড়াটিয়া নিলুফা বেগম বলেন, প্রথমে নান্নু মিয়ার রুম থেকে আগুন দেখতে পাই। এসময় দ্রুত বেরিয়ে আসি ঘর থেকে৷ সব ঘরের কক্ষেই গ্যাসের সিলিন্ডার ছিলো। তাই দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

বাড়ি মালিক শাহিন বলেন, আগুনে প্রায় ১৫-১৬ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে৷ তাঁর ঘরসহ ভাড়াটিয়া যেসব ঘরে ছিল সেখানে গাড়ি ও অন্যান্য জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। আগুন কিভাবে লেগেছে বলতে পারছেন না। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন৷

ভাড়াটিয়া নান্নু মিয়া জানান, রুমে বিদুৎ এর লাইন নেই। কয়েল জ্বালানো ছিল না, ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার ছিল৷। তবে কিভাবে আগুন লেগেছে আমি তা বলতে পাচ্ছি না।

দোহার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার তামিম হাওলাদার বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পাই। স্থানীয়রা পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার বা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে৷ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

উল্লেখ্য, নবাবগঞ্জ উপজেলায় কোনো ফায়ার সার্ভিস নেই। এতে স্থানীয়রা জানান, ফায়ার সার্ভিস দোহার থেকে এসে তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করেন। যদি নবাবগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থাকতো তাহলে আরও দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো। এতে ক্ষতির সম্ভাবনা কম হতো৷ তাঁদের দাবি নবাবগঞ্জে দ্রুত ফায়ার সার্ভিস স্টেশন করা হোক৷

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com